ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত না জানলে জানুন ।

এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা.. ইনশাআল্লাহ।

🔘১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর!
__(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪; মুসলিম ৬৬১)

🔘২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।
__(সহিহ মুসলিম, তিরমিজি ২১৮৪)

🔘৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।
__(বুখারী-মুসলিম)

🔘৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 
"যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!
__(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)

🔘৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।
__(আবু দাউদ ৪৯৪)

🔘৬.যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন। অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মতোই স্পষ্ট দেখবে।   __(বুখারী-৫৭৩)

🔘৭. যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে, সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।
__(সহিহ মুসলিম ৬৩৪) 

🔘৮.ফজরের সালাত আদায়কারী, রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।
__(সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

🔘৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।
__(জামে তিরমিজি ৪১৬)

🔘১০. ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে, প্রফুল্ল হয়ে যায়।
__(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)

সুবহানাল্লাহ

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের উপরোক্ত সব নিয়ামতের ভাগীদার করুন।
===============================
ফজরের সালাত না পড়ার সাস্তি।

একটি হাদিসে আছে যে, 
মৃত্যুর পর তাদের মাথাকে পাথর দিয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে, যারা ফজরের সালাত (নামাজ) না পড়ে 
ঘুমিয়ে থাকতো।
""/সহীহ বোখারী ৭০৪৭/""