প্রশ্নঃ- কোন বিধর্মীকে সালাম দেওয়া জায়েয আছে কী? এবং কোন বিধর্মী যদি কোন মুসলমানকে সালাম দেয়, তখন মুসলমান ব্যক্তি উক্ত সালামের জবাব দিবে কি-না? বা জবাব দিলে কতটুকু জরুরী হবে?
- কোন বিধর্মী বা কাফির, মুশরিক, হিন্দু, শী"আ, কাদিয়ানী, নাস্তিক, মুরতাদ, এদের কাউকে কখনও সালাম দেওয়া জায়েয নেই, বরং হারাম ও কবীরাহ গোনাহ ৷ কারণ সালামের অর্থ হলো- কারো শান্তির জন্য দোয়া করা ৷ তাই মুসলমানদের পরস্পর সাক্ষাৎ হলে সালামের মাধ্যমে একে অপরকে অভিবাদন পেশ করবে এবং তার শান্তি ও সালামতীর জন্য দোয়া করবে ৷ এটাই শরীয়তের নির্দেশ ৷
আর বিধর্মী, হিন্দু, শী"আ, কাদিয়ানী, নাস্তিক, মুরতাদ এরা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ প্রাপ্ত ও ইসলামের দুশমন ও নবীর দুশমন ৷ সুতরাং তাদের জন্য শান্তি ও সালামতীর জন্য দোয়া করা জায়েয নেই ৷
আর একান্তে এদের কেউ যদি কোন মুসলমানকে সালাম দেয় এবং সে সরাসরি সালামের বাক্য উচ্চারণ করে, তাহলে তার উত্তরে শুধু ""ওয়া"আলাইকা"" বলে দিবে অথবা ""হাদাকাল্লাহুল ইসলাম"" বলবে ৷
আর যদি সরাসরি আদাব বা নমস্কার ববে, তাহলে তার উত্তরে হাত উঁচু করে ইশারা করায় যথেষ্ট, তবে কোন মুখে কিছু বলবে না ৷
তবে এতটুকু অমুনতি আছে যে, যদি কোন অমুসলিম ব্যক্তি আদাব বা নমস্কার বলে এখানে ""হাদাকাল্লাহুল ইসলাম অর্থ হলো- আল্লাহ তোমাকে ইসলাম কবুল করার তাওফিক দান করুন"" বলে উত্তর দেওয়া যাবে ৷
তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে অনুসলিম ব্যক্তি যদি সালাম বা আদাব বা নমস্কার বলে তার উত্তরে ""ওয়ালাইকুমুসসালাম ,ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু এই বাক্য বলা কখনই জায়েয হবে না ৷ কেউ যদি বলে তাহলে সে গোনাহগার হবে ৷
দলীলঃ-( সুরা মুনাফিকুন, আয়াত নং- ০৫) ( সুরা তাওবা, আয়াত নং- ৮৪) ( সহীহ মুসলিম শরীফ- ২২০৪) ( সহীহ বুখারী শরীফ) ( ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া- ৫ম খণ্ড, ১৩৮-২২১পৃঃ) ( আদাবুল মুশাআরাত, যাদুল মাআদ) ৷


0 Comments