তিনটি আমল করলে জান্নাতের সার্টিফিকেট পাওয়া অতি সহজ জানে নিন !
♦♦♦♦♦♦♦
তবে শর্ত হলো,শিরক, বিদআত, কুফুরি, সুূদ, হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে।আর হালাল খাদ্য খেতে হবে।অন্যের হক নষ্ট করা যাবে না।তারপর আমল করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন।ইনশা-আল্লাহ
অতি সহজে জান্নাত পাওয়ার তিনটি আমল নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
⬛প্রত্যেক পাচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসী এক বার পড়াঃঃ
ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা। (নাসাঈ)
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم
উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুম লা তা’খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মাং যাল্লাযী ইয়াশফায়ু ইং দাহু ইল্লা বিযনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিইহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুওনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ। ওয়াসিয়া কুরসিইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
{{আরবি দেখে ভালোভাবে শুদ্ধকরে পড়ে নিয়েন}}
⬛ওজু শেষে কালিমা শাহাদাত পড়লে জান্নাতঃরাসূল (স:) বলেছেন,"যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে ওযূ করার পর বলে:
কালিমা শাহাদতঃ
«أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»
উচ্চারনঃআশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারসূলুহু। "
[[আরবি দেখে শুদ্ধকরে পড়ে নিয়েন]]
অর্থঃ“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-তাঁর বান্দাহ্ ও রাসূল।
তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ মুসলিম শরীফ]
️⬛আজানের জবাব দেওয়া ওয়াজিবঃ
আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম হলোঃ-মুয়াজ্জিয়ান যা বলবে হুবহু অবিকল তাই বলতে হয়।শুধু হাইয়া আলাছ ছলাহ এর বদলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলতে হয় আর হাইয়া আলাল ফালাহ এর বদলে লা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলতে হয়।আর বাকি সব মুয়াজ্জিন যেভাবে বলবেন হুবহু অবিকল সেভাবে বলা।
বুজলেন??
যেমন নিচে দেওয়া হলোঃ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি মুয়াজ্জিনের আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার- এর জবাবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলে এবং আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর জবাবে আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ এর জবাবে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলে, অতঃপর হাইয়্যা ‘আলাছ-ছলাহ-এর জবাবে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে, তারপর হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ-এর জবাবে যদি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে, তারপর যদি আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার এর জবাবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ-এর জবাবে লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ বলে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
সহিহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
দলিলঃআবু দাউদঃ৫২৭


0 Comments