কোরআনের আলোকে ধৈর্যের গুরুত্ব


ধৈর্য সম্পর্কে কোরআনে কারীমে অসংখ্য আয়াত বর্ণিত হয়েছে।


এক আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন’। সূরা বাকারা: ১৫৩


অন্যত্র আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। তোমরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো না, এতে করে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে, এবং তোমাদের শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে। তোমরা ধৈর্যধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন’। সূরা আনফাল: ৪৬


আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা করো’। সূরা আলে ইমরান: ২০০


হাদীসের আলোকে ধৈর্য:



ধৈর্য সম্পর্কে হাদীসেও বহু রেওয়ায়েত পাওয়া যায়।


আনাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- ‘‘আমি যদি আমার কোনো বান্দাকে তার দুটি প্রিয় জিনিস (দুই চোখ) থেকে বঞ্চিত করি, আর এতে সে যদি ধৈর্যশীল থাকে, তাহলে ওই দুটির বিনিময়ে আমি তাকে জান্নাত দান করবো’’। বুখারী: ৫৬৫৩


আরেক হাদীসে এসেছে,


আবূ হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘‘আমার মু’মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোনো পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে’’। বুখারী: ১২৮৩


সুতরাং বিপদগ্রস্ত হয়ে যখন মনে হয়, আর কোনো আশা নেই, তখন ধৈর্যধারণ করে আল্লাহ তা’য়ালাকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহ তা’য়ালা যথাসময়েই বিপদ দূর করে দেবেন, আর ধৈর্যধারণের জন্য দেবেন দ্বিগুণ পুরস্কার।