কু'রআনের সর্বশ্রেষ্ট দোয়া গুলো 

  কু'রআনের সর্বশ্রেষ্ট দোয়াঃ

এ দোয়ার মাধ্যমে  সব কিছু চাওয়া হয়। এ দোয়া পড়লে মনের সকল আশা পূরন হয়।ইনশা-আল্লাহ।প্রিয় নবী(স:) এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন।দোয়াটি হলোঃ


ُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِى الْءَاخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ


রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাও  ওয়াফিল আখিরতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)


অর্থ :হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।


দলিলঃসূরা বাকারাহ:আয়াতঃ২০১

 
⬛আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ইউনূছ:সহীহ হাদিসে আসছে,এ দোয়াটি   পড়লেও সব ধরনের মনের আশা পূরন হয় ও বিপদ মুসিবত দূর হয়।ইনশা-আল্লাহ।এ দোয়াটি পড়বেন আর আপনার মনের আশাগুলো মনে মনে স্মরন করবেন।আপনার মন কি চায় আল্লাহ তা খবর রাখেন।দোয়াটি হল:


لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي

 كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ


বাংলা উচ্চারনঃ'লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমিন।'।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)


অর্থাৎ 'তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি গোনাহগারদের দলভুক্ত।

দলিলঃসূরা আম্বিয়া :আয়াত:৮৭


⬛নেককার হবু  বউ,ও হবু স্বামী /উত্তম জীবনসঙ্গী,হবু নেককার  স্বামী ও স্ত্রী  এবং ভাল হালাল চাকরি পাওয়ার জন্য কুরআনের  নিচের অতি গুরুত্বপূর্ণ  দোয়াটি পড়তে পারেন:


 رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير 


উচ্চারণ : ‘রব্বি ইন্নি লিমা আনঝালতা ইলাইয়্যা মিন্ খইরিং ফাক্বির।’ ।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)


⬛যাদের চোখ শীতল করা ও চোখ জুড়ানো রুপবতী  নেককার হবু বউ ও হবু স্বামী  দরকার তারা নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন।মেয়েরা পড়লেও ভাল নেককার স্বামী  পাবেন।ইনশা-আল্লাহ।আল্লাহ মানুষের অন্তরের খবর রাখেন ।

দোয়াটি হলঃ

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوٰجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا


বাংলা উচ্চারণ:রব্বানা হাবলানা মিন আঝওয়াজিনা ওয়াযুর্রিই ইয়াতিনা কু'ররতা আ'ইউনিও ওয়াজআলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমা-মা।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)

অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।

দলিলঃসূরা ফুরকান:আয়াত :৭৪


⬛জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া:

رَّبِّ زِدْنِى عِلْمًا

বাংলা উচ্চারনঃরব্বি যিদনী ইলমা।

।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)

অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

দলিলঃসূরা ত্বোয়াহ:আয়াতঃ১১৪


ঝণ পরিশোধ ও অভাব মোচনের  জন্য  সহীহ হাদিসের নিচের দোয়াটি পড়তে পারেনঃ

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ

বাংলা উচ্চারণ:

আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক

(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)

 

অর্থ:‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে স্বচ্ছলতা দান কর।’

দলিলঃসহীহ তিরমিজি শরীফ ,আহমাদ


ঈমানের সাথে মৃত্যু বরন করার দোয়াঃ

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ


উচ্চারণঃ রব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানাওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রহমাতান, ইন্নাকা আংতাল ওয়াহাব। ।(দোয়াটি আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে)


অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।

দলিলঃসূরা আল ইমরান:আয়াত:৮


 


⬛[[সবসময় সুস্থ ও ভালো নিরাপত্তা থাকার দুআ]]]


اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ الْعَافِيَةَ


“আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াহ”


অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ‘আফিয়াহ’ (দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্ত থাকা) চাই।


সহীহ দলিলঃতিরমিজিঃ৩৫১৪


⬛[[সবসময় সুস্থ থাকার দোয়া]]


অনেক সহজ ছোট্র একটি দুআ।সবাই আমল করিয়েন।ইনশা-আল্লাহ


সকালে ৩ বার আর সন্ধায় ৩ বার পড়তে হয়।তবে কেউ সিজদায় পড়তে চাইলে সিজদায়ও পড়তে পারবেন।


اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাছারি, লা-ইলাহা ইল্লা আংতা।’


[[দুআটি  আরবি,দেখে শুদ্ধভাবে পড়ে নিবেন]]


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণেন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।’


উপকার : আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি : ‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণেন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। 


[[[[দলিল দেখুনঃ(আবু দাউদ, হাদিস  নং  ৫০৯০]]]

দোয়া আরবি দেখে শুদ্ধভাবে শিখে পড়তে হবে।


আদরের মা বাবার জন্য দুআ

. رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًاউচ্চারণ : ‘রব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি ছগিরা।

[আরবি দেখে শুদ্ধ করে পড়ে নিন]


’অর্থ : (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)


 رَبَّنَا ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ ٱلْحِسَابُউচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমু'মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

(আরবি দেখে শুধু করে পড়েন নিয়েন)


অর্থ : ‘হে আমাদের রব! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)


মনে রাখতে হবে,নামাজের সিজদায় গিয়ে দোয়া করার জন্য প্রথমে  অবশ্যই সিজদার তাসবিহ 'সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা 'তিনবার বলার পর তারপর আরবি ভাষায় যেকোন দোয়া পড়া যাবে।একই দোয়া যতবার পড়া মন চায় ততবার দোয়া করতে পারবেন।যত দোয়া পড়তে মন চায় তত দোয়া করতে পারবেন।আর ইচ্ছে করলে নামাজের প্রত্যেক রাকাতে বা যেকোন রাকাতে দোয়া করতে পারবেন।এতে কোন সমস্যা নাই।বরং অনেক ভাল হবে।  আর সিজদায় আরবি ভাষায় দোয়া করা উত্তম।কারন অনেক ইসলামিক স্কলার  বলেন নামাজে নিজের ভাষায় বা বাংলা ভাষায় দোয়া করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।কারণ নামাজ এমন  একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে নিজস্ব   ভাষায় কথা বলা ঠিক নয় তাই কোরআন ও হাদিসের ভাষায় দুআ করা উচিত।তবে 

আবার কোন কোন আলেম বলেন,কেউ আরবিতে দুআ না পারলে শুধু নফল নামাজ পড়ার সময়  বাংলায়  দুআ করা যাবে।বাংলায় দুআ করলে শুধু নফল নামাজে করতে পারেন। আর আরবিতে দুআ করলে ফরজ,সুন্নাত, ও যেকোন নফল নামাজে দোয়া করতে পারবেন।