যে কারণে বিয়ের আগেই আপনাকে পর্নোগ্রাফি ছাড়তেই হবে ।
আমরা অনেকেই বিয়েকে গুণাহ মুক্তির উপায় মনে করি।
এখন যেমন চলছে চলুক, বিয়ের পর একদম সাধু হয়ে যাবো। অবশ্যই বিয়ে নতুন করে গুণাহের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় বহুলাংশে। তবে পূর্ব থেকেই আপনি যে গুণাহ গুলোতে অভ্যস্ত, সেগুলো ছেড়ে দেয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে।
যেমনঃ
পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন।
এর কারণে আপনার সংসার ভেস্তে যেতে পারে।
আর এমনটা ঘটছেই অহরহ।
১.পর্নোগ্রাফির সমস্যা ঃ
বিয়ের পরই দেখবেন পর্নোগ্রাফিতে আপনি যে বৈচিত্র্য পেতেন আপনার স্ত্রীর মধ্যে তা পাচ্ছেন না। আপনার স্ত্রী একজন লজ্জাশীল পবিত্র দ্বীনদার মেয়ে।
অন্যদিকে আপনি যেসব পর্নস্টারদের দেখে অভ্যস্ত,
তারা কামকলায় এক্সপার্ট।
তাদের ফুলবডি মেকআপ করা থাকে। কিছুদিন পর আপনি আপনার স্ত্রীর ত্বকের ব্যাপারেও হতাশ হবেন।
কারণ আপনি পর্নোগ্রাফিতে মেয়েদের মসৃণ ত্বক দেখে অভ্যস্ত অথচ আপনার স্ত্রীর সাথে তার কিছু মেলে না।
আপনি আপনার স্ত্রীর ত্বকের মধ্যে
বিভিন্ন দাগ, তিল, লোমকূপ ইত্যাদি আবিষ্কার করেন। আর এমনটা থাকাই স্বাভাবিক ছিল কিন্তু আপনার কাছে তা অস্বাভাবিক মনে হয় পর্নোগ্রাফির কারণে।
পর্ণস্টারদের নির্লজ্জ
আচরণ আপনি আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে
পেতে চাইবেন, কিন্তু তা কখনোই পাবেন না।
ফলে আপনি হয়ে যাবেন হতাশ। আবার ফিরে যাবেন সেই পর্নোগ্রাফিতে।
এজন্য বিয়ে আপনাকে এই বদঅভ্যেস ছাড়তে সহায়ক হতে পারে তবে রাতারাতি নিয়ামক নাও হতে পারে।
আর তাই
বিয়ের আগে আপনাকে এটা ছাড়তেই হবে।
হস্তমৈথুন ঃ
হস্তমৈথুন এমন বদঅভ্যেস যা বিয়ের পরও ছাড়া অনেক কঠিন। স্ত্রীর পিরিয়ডের সময় বা সে তার বাবার বাড়িতে গেলে আপনি সুযোগ খুঁজবেন কিভাবে
চাহিদা মিটানো যায়।
আর তখনই চলে যাবেন সেই পুরনো অভ্যেসে।
স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শয়তান আপনাকে
ধোঁকা দেয়ার সুযোগ খুঁজবে।
তাই এগুলো বিয়ে এসে রাতারাতি ছাড়িয়ে দেবে তা নয়,
বরং বিয়ের আগেই এগুলোকে আপনার ছাড়তে হবে।
নয়তো জীবন হয়ে যেতে পারে দূর্বিষহ।


0 Comments